রাসেল রানা, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছীতে যুবলীগ নেতা সরকারী সুবিধা দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছে থেকে মাতৃকালিন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা , প্রতিবন্ধী ভাতাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ইটের ঘর দেওয়ার নামে অভিযোগ করেছেন উপজেলার যুবলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ রানা শাহিন হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিয়োগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইমামুল আল হাসান তিতু’র নাম ভাঙ্গীয়ে যুবলীগের সহ-সভাপতি শাহিন হোসেন মথুরাপুর ইউনিয়নের কাস্টগাড়ী গ্রামের সোহেল রানা’র কাছ থেকে মাতৃকালিন ভাতা ও ভিজিডি কার্ডের জন্য টাকা আত্মসাথের অভিযোগ। পরে এক সম্পর্কের জের ধরে সোহেল রানা’র স্ত্রী কে মাতৃকালীন ভাতা পেয়ে দেওয়ার নাম করে প্রথমে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। জলি আক্তারকে মেডিকেল টেস্ট এর কথা বলে দুই হাজার টাকা নেওয়া হয়।
এছাড়াও ঐ গ্রামের একাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে যুবলীগ নেতা।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানাযায়, ৫নং কোলা ইউনিয়নের কাশাইল গ্রামের মিজানূর রহমানের মাধ্যমে বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র ব্যাক্তিদের কাছ থেকে মোট ৬৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ২৫ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ তারিখে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর ঐ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মাতৃকালীন, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতাসহ মাননীয় প্রধান মন্ত্রির উপহার ইটের বাড়ী পায়িয়ে দেওয়ার নামে মিজানূর রহমার এর কাছ থেকে ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাথের অভিযোগ করেন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ রবিদাশ এর মাধ্যমে ঐ নেতার বাড়িতে নোটিশ দিতে গেলে গ্রাম পুলিশ রবিদাশকে বিভিন্ন ভাষায় অকট্ট ভাবে গালিগালাচ করে ফেরত পাঠায়।
ভুক্তভোগি সোহেল রানা, নূরুজ্জামান বাবু বলেন, আমি প্রায় দের বছর আগে মিজানূর রহমানে এর মাধ্যমে যুবলীগ নেতা শাহিন হোসেন আমার বাড়িতে এসে নাস্তা করে সরকারি সুবিধা পায়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে আমার কাছ থেকে এসব টাকা নিয়ে যায়। পরে সরকারি সুবিধা আমাকে নিয়ে দিতে না পারলে আমার টাকা আমি ফেরত চায়। সে আমার টাকা ফেরত না দিয়ে আজ দিব কাল দিব বলে সময় পার করছেন।
এ বিষয়ে শাহিন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি একজন বিলাশবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ হতেই পারি। তিনি আরো বলেন ঘটনাটি সত্য নয় আমার সাথে সত্রুতা করে অভিযোগ করতে পারে এতে আমার কোন যায় আসে না।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান,উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইমামুল আল হাসান তিতু বলেন আমার নাম ভেঙ্গে সরকারি সুবিধা দেওয়ার নাম অসহায় দারিদ্র ব্যাক্তিদের কাছ থেকে যারা টাকা আত্মসাৎ করছে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে সাংগঠনিক ভাবে তাদের বিদুদ্ধে আইনুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply