বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন জেলা রিটার্নিং অফিসারের অ্যাপস ও মুজিব শতবর্ষের লোগো ব্যবহার করার অপরাধে শোকজ করা হয়েছে।
শোকজে একদিনের মধ্য জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে বরগুনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জেলা নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের অ্যাপস রিটার্নিং অফিসার ও মুজিব শতবর্ষের লোগো ব্যবহার করে ১২ জানুয়ারী পথসভার সময় সূচী প্রচার করেছেন।
নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা ওই বিষয় গুলো জেলা নির্বাচন অফিসারের নজরে আনেনন।
জেলা নির্বাচন অফিসার ১৭ জানুয়ারী সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনকে একদিনের মধ্য কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি জেলা নির্বাচন অফিসের অ্যাপস ব্যবহার করিনি।
অ্যাপস আমার কম্পিউটারে খোলা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সবার। নির্বাচন চলাকালিন সময় বঙ্গবন্ধুর মুজিব শতবর্ষের লোগো ব্যবহার করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতির জনকের ছবি সবাই দিতে পারে।
জেলা নির্বাচন অফিসার দীলিপ কুমার হাওলাদার বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন আমাদের প্রতারনা করেছে। আমরা বিব্রতবোধ করেছি।
তিনি কেন আমাদের অ্যাপস ব্যবহার করেছেন সে জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন জেলা নির্বাচন অফিসারের অ্যাপস ব্যবহার করেছেন।
আমি জেলা নির্বাচন অফিসার দীলিপ কুমার হাওলাদারকে বলেছি। তিনি অস্বীকার করেছেন। আমি যত টুকু জানি বিদ্রোহী প্রার্থীকে তিনি শোকজও করেছেন।
অপর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, জেলা নির্বাচন অফিসার একজন অসৎ লোক।
আমি ১০০ জন ভোটারের স্বাক্ষর দিয়ে মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।
তিনি ৩ জানুয়ারী আমার,জসীম উদ্দিন, সাহাবুদ্দিন ও নিজাম উদ্দিনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেন।
আমরা হাইকোর্টে রিট করেছি। আমাদের মনোনয়ন বাতিলে অভিযোগ ছিল তিনটি স্বাক্ষর জাল।
অথচ মেয়র শাহাদাত হোসেনের মেয়ে মহাসিনা মিতুর ১০০ ভোটারের সব স্বাক্ষর জাল হওয়া সত্বেও তার মেয়র পদে মনোনয়ন বৈধ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভোটার বলেন, আয়কর বাধ্যতামূলক থাকা সত্বেও একজন কাউন্সিলর প্রার্থী তাঁর মনোনয়ন পত্রে আয়কর রিটার্ণ দাখিল করেননি।
৩ জানুয়ারী বাছাইর সময় তাঁর মনোনয়ন পত্র স্থগিত করেন জেলা নির্বাচন অফিসার। বিকালে জেলা নির্বাচন অফিসার অন্যায় ভাবে আবার ওই প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ করেন।
Leave a Reply